অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দপুর গ্রামের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য
আলেয়া খাতুন বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে একই গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র
মোঃ ছায়দার হোসেনের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা দাবী করেন। নিরুপায় হয়ে ছায়দার
হোসেনের স্ত্রী ছালেহা খাতুন প্রতিবেশীর নিকট থেকে ধারদেনার মাধ্যমে ১৭০০
টাকা নিয়ে ইউপি সদস্য আলেয়াকে দেন।
ভুক্তভোগী ছায়দার হোসেন কান্না কণ্ঠে বলেন, মেম্বার আলেয়া বলেছে,
বয়স্ক ভাতা কার্ড পাইতে ৩ হাজার টাকা খরচ লাগবে। আমরা গ্রামের মুখ্য সুখ্য মানুষ
কিছুই বুঝি না। নিরুপায় হয়ে তাকে ১৭০০ টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্ড
পাইনি। এ কারণে ছায়দারের স্ত্রী ছালেহা খাতুন গত ২৩ জুলাই ইউএনও বরাবরে অভিযোগ
দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আছাদুর রহমান বলেন, বিষয়টি সমাজসেবা অফিসারের
মাধ্যমে তিনি শুনেছেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
ইউপি সদস্য আলেয়া খাতুন তার বিরুদ্ধে উথ্থাপিত
অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বয়স্ক ভাতা কার্ড দেওয়ার নামে আমি কারও কাছ
থেকে কোন টাকা নেইনি।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন,ইউএনও মহোদয় বিষয়টি
তদন্ত করে দেখতে ছালেহা খাতুনের অভিযোগ খানা আমাকে ফরওয়ার্ড করেছেন।
তাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।